নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১২ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১০৭ কোটি (১.০৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসাবে)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, মাসের বাকি দিনগুলোতেও এ গতি অব্যাহত থাকলে, জুলাই শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৭৬ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরিয়েছে। হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের কঠোর অবস্থান, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহে এমন ইতিবাচক ধারাবাহিকতা এসেছে।
গত জুন মাসেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৮২ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের জুন মাসের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে এসেছে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাহ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে মোট ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়নের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। এটি দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স অর্জনের রেকর্ড।
রেমিট্যান্সে এমন ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার জোগানে স্বস্তি নিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে রিজার্ভ ছিল ৩১ বিলিয়ন ডলার।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি BPM6 অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের ২১ দশমিক ৬৮ বিলিয়নের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
এদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘মিডিয়াম টার্ম ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসি স্টেটমেন্ট’ অনুযায়ী, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। ওই সময় রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, আমদানিতে ৮ শতাংশ এবং রেমিট্যান্সে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ইএইচ