Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থী থাকলেও বিক্রি কম

পূর্বাচল প্রতিনিধি

পূর্বাচল প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম


বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থী থাকলেও বিক্রি কম

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭ তম আসরের পূর্বাচলে ২য় আসরের ২৩ম দিনেও বিক্রিতে খুশি নয় ব্যবসায়ীরা। পণ্য মূল্যে ছাড় দিয়েও ক্রেতা পাচ্ছেন না। তবে শেষ সময়ে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সংখ্যা। বরাবরের মতোই প্রায় সব পন্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ ছিলো বেশি। যদিও দেশীয় ও নিত্য পণ্যের দিকে অফার পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রেতারা। তবে কিছুটা যাতায়াত ভোগান্তি ছিলো ঢাকা বাইপাস সড়কে।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ফার্নিচারের দোকানে ভিড় থাকলেও বিক্রি নেই খুব একটা। মেলায় থাকা পারটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার বলেন, আমাদের মেলার স্টল নেয়ার উদ্দেশ্য হলো প্রচার। বিক্রিকে প্রাধান্য দেয়া হয়না। যা হয় তাতেই সন্তুষ্ট। তবে মেলা থেকে দেশী ও বিদেশী তৈরী আদেশ পাওয়া যায়। যা ব্যবসায়ীক উন্নতিতে ভুমিকা রাখে।

মেলার ঘুরতে এসে গাজীপুর পূবাইল এর বাসিন্দা তামান্না ইসলাম বলেন, বিদেশী পণ্যের প্রায় সবকটা স্টলে অতিরিক্ত দাম হাঁকাচ্ছে। যা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাই শুধুমাত্র কিছু গৃহস্থালি পণ্য ক্রয় করে চলে আসছি।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে স্টল ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভীর। ফার্নিচার দোকানে ও প্যাভিলিয়নে ভীর থাকলেও বিক্রি করতে দেখা যায়নি। সাধারণ ক্রেতাদের আকর্ষণে থাকা ১৬ পরীর খাট হলেও তার দাম শুনে সটকে পড়ছেন তারা। এদিকে খাটটিতে পরী নামের মূর্তি থাকায় মুসলিম ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

মেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিবেশ নিয়েও হিমসিম খাচ্ছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যারা। মেলায় পকেটমার ও ছিনতাইকারীর উপদ্রব বেড়ে গেছে তাদের আইনের আঁওতায়ও নেয়া হয়েছে বলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা, তারা বলছেন মেলার পাশে ঢাকা বাইপাস সড়কের অবস্থান। আর এ সড়কের ৮ লেনে উন্নয়ন কাজ চলমান। ফলে মেলায় প্রবেশে যানজট ভোগান্তি রয়েছে। তবে নিরাপত্তার জন্য ৩ শতাধিক সিসি ক্যামেরা আর ৭ শতাধিক পুলিশ কাজ করছে।

এদিকে শিশুদের খেলনা আর শিশুপার্কে ভীর দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। ঢাকার উত্তরা থেকে আসা গৃহীনি লাকী রায় বলেন, মেলায় সব পণ্যের দাম বেশি রাখা হচ্ছে। তবে শিশুরা খেলাধুলার জন্য একটি মিনি পার্ক পেয়েছে। যা ভালো লেগেছে।

মেলা ঘুরতে আসা শাহিন মিয়া বলেন, মেলার নামী দামী কোম্পানির পণ্য বিক্রি হচ্ছে কম। তাদের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। তবে মেলায় থাকা কমদামের পণ্য বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে মানের আর দামের দিক থেকে পার্থক্য আছে।

ব্যবসায়ীদের মতে, মানুষ অর্থনেতিক সংকট ও ব্যয় সংকোচন করতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেশি কিনছেন। বিলাসবহুল বা কম প্রয়োজনীয় পণ্য অধিকাংশই কিনছেন না। আর বিদেশী পন্যের দাম বেশি হাঁকায় ক্রেতারা শুধু দেখছেন কিন্তু কিনছেন না।

মেলা প্রাঙ্গণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মনিটরিং ছিলো দেখার৷ মতো। সাধারণ ক্রেতা‌দের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন অপরাধে দন্ড দেয়া হচ্ছে। মেলায় প্রতিদিন অভিযোগ প্রমাণিত হলে নানা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করেছে অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা বলেন, বাণিজ্য মেলা চলাকালে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিদিন মেলায় প্রতিষ্ঠানগুলো মনিটরিং করছি। জনস্বার্থে এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচীব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এবার প্রচুর দর্শনার্থী হচ্ছে। তবে ঢাকা বাইপাস সড়কের উন্নয়ন কাজের জন্য যাতায়াতে কিছুটা কষ্ট হলেও মেলা ঘুরতে পারায় লোকজন সন্তুষ্ট।

আরএস

Link copied!