আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জুলাই ৯, ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
বাংলাদেশ, চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য অভিন্ন স্বার্থ ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ (ওআরএফ)-এর আয়োজিত এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেনারেল চৌহান সরাসরি কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করলেও বলেন, “ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু দেশের অর্থনৈতিক সংকটকে বহিরাগত শক্তিগুলো প্রভাব বিস্তারের সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে, যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বার্থের একটি সম্ভাব্য সংযোগ রয়েছে, যা ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।”
আলোচনায় সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়েও বক্তব্য দেন জেনারেল চৌহান। তিনি বলেন, “সম্ভবত এই প্রথম দুটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে। অপারেশন সিন্দুর তাই এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত।”
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের ভূখণ্ডে চালানো অভিযানের সময় চীনের পক্ষ থেকে ইসলামাবাদকে ঠিক কতটুকু সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, তা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে সংঘাত চলাকালীন ভারতের উত্তর সীমান্তে কোনও অস্বাভাবিক তৎপরতা দেখা যায়নি বলে জানান তিনি।
জেনারেল চৌহান বলেন, “ভারত কখনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের কাছে মাথা নত করবে না। অস্ত্র আমাদের প্রতিরক্ষার উপকরণ—যুদ্ধের জন্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতের যুদ্ধ শুধু প্রচলিত অস্ত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা সম্প্রসারিত হবে সাইবার ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্ষেত্রেও। ভারতের ‘নো ফার্স্ট ইউজ’ বা ‘প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করার’ নীতির ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রচলিত যুদ্ধের পরিসর টিকে আছে।”
কাশ্মিরের পেহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ভারতের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করতে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আপনি একে প্রতিশোধ বলুন আর প্রতিরোধ—উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যতের হামলা ঠেকানো। পাকিস্তানই পরে এই সংঘাতকে প্রচলিত যুদ্ধের স্তরে নিয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “অপারেশন সিন্দুর একটি অনন্য অভিজ্ঞতা—যা বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে।”
ইএইচ