Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মো. মাসুম বিল্লাহ

নভেম্বর ১, ২০২২, ০৩:৫৪ পিএম


তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান পরোয়ানা জারির এই নির্দেশ দেন।

দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়। একই সঙ্গে আগামী ৫ জানুয়ারি পরোয়ানা জারিসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

এদিকে তারেক রহমানের পক্ষে অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন সময়ের আবেদন করেন। আইনত তারেক রহমান ও জোবাইদা পলাতক। ইতিমধ্যে হাইকোর্টও তাঁদের পলাতক ঘোষণা করেন। এ কারণে আইনজীবীর ওই আবেদন গ্রহণ করেননি আদালত।

২০০৮ সালে ডা. জোবাইদাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অন্য দুজন হলেন তারেক রহমান ও জোবাইদার মা ইকবাল মান্দ বানু। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবাইদার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবাইদাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবাইদা। গত ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর ফলে ডা. জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আইনগত বাধা কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতে জোবাইদার মামলা আবার সচল হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তাঁর মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

ইএফ

Link copied!