আমার সংবাদ ডেস্ক:
এপ্রিল ৯, ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক:
এপ্রিল ৯, ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
বান্দরবানে ব্যাংক লুট, রুমা ও থানচিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে গোলাগুলির পর কেএনএফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কর্মকান্ডের বিবৃতি দিয়েছে। এবার এই ঘটনায় পাল্টা বিবৃতি দেয় পার্বাত্যাঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আহবায়ক শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ‘ক্য শৈহ্লা’ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি সদস্য সচিব "লালজারলম বম" র যৌথ স্বাক্ষরিত লিখিত বিবৃতি তুলে ধরা হলো।
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বিবৃতি:
গত ২ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি. রুমা উপজেলায় কেএনএফ কর্তৃক অতর্কিতভাবে সশস্ত্র অবস্থায় বর্বরোচিত হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি করে হামলা, অর্থ লুটের উদ্দেশে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজার জনাব নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪ টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া এবং ০৩ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি. থানচি উপজেলায় স্থানীয়বাসীদের জিম্মি করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ ও দু`টি ব্যাংক লুট করার মতো জঘন্যতম ঘটনায় সমগ্র জাতি স্তম্ভিত ও মর্মাহত।
কেএনএফ সম্পূর্ণভাবে সমঝোতা চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তা জনাব নেজাম উদ্দিনকে ০৪ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি. উদ্ধার করা গেলেও পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর লুট হওয়া মোট ১৪ টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য যে, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গত ৯ জুন ২০২৩ খ্রী: ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর থেকে এই পর্যন্ত ৪টি ভার্চুয়াল বৈঠক ও ২টি সশরীরে সংলাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়। সংলাপে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথম বৈঠকে ৪টি এবং ২য় বৈঠকে ৭টি সমঝোতা স্বাক্ষর সম্পাদিত হয়। সম্পাদিত উভয়পক্ষের সম্মতি স্বাক্ষর অনুযায়ী অত্র কমিটির পক্ষ হতে কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ঠিক ঐ মুহুর্তে হঠাৎ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কর্তৃক বর্বরোচিত হামলা, লুট ও অপরহণ সম্পূর্ণরুপে সমঝোতা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে আমরা মনে করি।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সমন্বয়ে এই পর্যন্ত বম জনগোষ্ঠীর জন্য রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার মোট ৯৬৮ টি বম পরিবারের মাঝে ১৩৪ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য, নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র, চিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ তাদের কারান্তরীন ২ জন সদস্যকে জামিনে মুক্তি লাভে সহায়তা প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট কারান্তরীন সদস্যদের মুক্তির ব্যাপারে আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ বম জনগোষ্ঠীদের সহায়তার জন্য এলাকায় খাদ্যশস্য ইতোমধ্যে পৌঁছানো হয়েছে। তাদের উত্থাপিত দাবিসমূহ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট গোচরিভূত করা হয়েছে। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তথা আপামর জনগণ এই উদ্বৃট পরিস্থিতি কোনভাবে কামনা করিনা। এমন অশান্ত পরিস্থিতি পরিহার এবং সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কেএনএফ এর সকল সদস্য শান্তি বজায় রাখবেন এবং অস্ত্র সমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
বিআরইউ