ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
এবি পার্টি

সরকার লুটেরাদের স্বার্থেই দেশের জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করে তুলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২১, ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম

সরকার লুটেরাদের স্বার্থেই দেশের জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করে তুলেছে

সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ও জ্বালানি খাতের সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি - এবি পার্টি। আজ সন্ধ্যায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে দলের পক্ষ থেকে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। 

এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। ব্রিফিংকালে  আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন।

তাজুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে সরকার বাংলাদেশকে প্রস্তর যুগে ঠেলে দিচ্ছে। কলকারখানা সহ বাসা বাড়ির রান্নার গ্যাসও সরকার এখন সরবরাহ করতে পারছেনা। এই সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে আগামীতে জ্বালানি আমদানি আরও কঠিন হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের রিপোর্টে জ্বালানি খাতের সংকটকেই প্রধান সংকট হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছে। 

বর্তমান চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ঘনফুট যা এই অর্থ বছরে দেড় হাজার ঘনফুট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে জ্বালানি আমদানি করতে না পারায় এই সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বেশিরভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাস ভিত্তিক হওয়ায় গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ খাত ধ্বসে পড়তে পারে। 

এই পরিস্থিতিতে আগামী গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের গ্যাস, বিদ্যুৎ সহ পুরো জ্বালানি খাত গভীর সংকটে পড়বে বলেও দলের পক্ষ থেকে আশংকা প্রকাশ করা হয়। সরকারের অসচেতনতা ও নির্বিকার ভাবের নিন্দা জানিয়ে তাজুল ইসলাম আরও বলেন- ভারত ও মায়ানমার সরকার যেখানে বঙ্গোপসাগরে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের এর সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা খুবই সন্দেহজনক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, 
দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে আমদানি নির্ভর করে তোলা হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের কিছু সিন্ডিকেট লুটেরাদের সুবিধার্থে। আমরা মনে করি নিজেদের তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন কর্যক্রম বন্ধ রেখে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্যই একটি আমদানি নির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। যার কারণেই দেশ আজ এই গভীর সংকটে নিপতিত। 
সমাপনী বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়না। আর জবাবদিহিতা ছাড়া কোন সংকট সমাধান সম্ভব নয়। বর্তমান বাংলাদেশের সকল সমস্যা সমাধানে এই অগণতান্ত্রিক ফ্যাসীবাদী সরকার পতন ঘটানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, মহানগর উত্তরের নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, ফেরদৌসী আক্তার অপি, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শীলা আক্তার, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

আরএস

Link copied!