নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে বিভাজন দেশের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর হবে না।”
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আগামী দিনে বিএনপি জনগণের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি করতে চায়। এজন্য প্রচলিত ধারার বাইরে এসে নতুন রাজনীতি চর্চা করতে হবে। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যে কোনো কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে হবে যাতে জনগণের মধ্যে বিএনপির প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে নিত্যনতুন ইস্যু নিয়ে অহেতুক বিতর্ক শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননা। জনগণই রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মূল শক্তি, আর নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। নির্বাচন ছাড়া ফ্যাসিবাদ ঠেকানোর কোনো কার্যকর উপায় নেই।”
অন্তর্বর্তী সরকারের নির্ধারিত ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “এই নির্বাচন হবে দেড় দশকেরও বেশি সময় পর জনগণের নিজেদের এজেন্ডা ও ম্যানিফেস্টো বাস্তবায়নের সুযোগ। তবে কিছু দলের অস্পষ্ট বক্তব্য গণতন্ত্রকামী মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করছে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, তাহলে পতিত ফ্যাসিস্ট চক্রের পুনর্বাসনের পথ সহজ হবে। রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ক্ষতির মুখে পড়বে।”
তারেক রহমান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের তুলনা করে বলেন, “একাত্তর ছিল স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ, আর চব্বিশ ছিল স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে এখন গণতান্ত্রিক ও ইনসাফভিত্তিক দেশ গড়াই সময়ের দাবি।”
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বিএনপির রাজনীতি হবে জনগণের কর্মসংস্থান ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন।
ইএইচ