ধর্ম ডেস্ক
আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
পবিত্র কোরআনের প্রতিটি হরফই অগণিত সওয়াবের ভাণ্ডার। তবে কিছু সুরা ও আয়াত রয়েছে যেগুলোর বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা কোরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। এর অন্যতম হলো—সুরা ইখলাস।
সুরা ইখলাসের ফজিলত
হাদিসে এসেছে, সুরা ইখলাসকে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি একবার এই সুরাটি তিলাওয়াত করবে, সে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠের সমান সওয়াব অর্জন করবে।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন—এক সাহাবিকে বারবার “কুল হুয়াল্লাহু আহাদ” পাঠ করতে দেখা গেল। বিষয়টি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উত্থাপন করা হলে তিনি বললেন:
“সুরা ইখলাস কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০১৩)
অতএব, যদি কেউ তিনবার সুরা ইখলাস পাঠ করে, তবে তার জন্য একটি সম্পূর্ণ খতম কোরআনের সওয়াব লেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।
জান্নাতের সুসংবাদ
শুধু সওয়াবই নয়, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা রাখার মাধ্যমেও আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে জান্নাত দান করবেন।
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে—এক আনসারি সাহাবি মসজিদে কুবায় ইমামতি করতেন। তাঁর অভ্যাস ছিল, সুরা ফাতিহার পর সর্বদা সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করে এরপর অন্য সুরা পড়া। সহচররা এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তিনি দৃঢ়ভাবে বললেন,
“আমি সুরা ইখলাসের প্রতি মহব্বত করি, তাই এটি ছাড়তে পারব না।”
ঘটনাটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জানানো হলে তিনি বললেন:
“তোমার এই ভালোবাসাই তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।”
(জামে তিরমিজি, হাদিস: ২৯০১)
সুরা ইখলাসের তিলাওয়াত অতি সহজ, কিন্তু এর সওয়াব অসীম। একবার পড়লে এক-তৃতীয়াংশ কোরআনের সমান সওয়াব, আর তিনবার পড়লে পূর্ণ এক খতম কোরআনের সমান সওয়াব অর্জিত হয়। তাছাড়া এর প্রতি ভালোবাসাই জান্নাতের নিশ্চয়তা এনে দেয়।
তাই প্রতিদিনের আমলের তালিকায় সুরা ইখলাসকে স্থান দিন। ছোট্ট এই সুরাটি হতে পারে আপনার নেক আমলের বড় ভাণ্ডার।