ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

লগ্নিতে ছেলেরা-সাফল্যে মেয়েরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জুন ৩০, ২০২২, ০২:০৭ পিএম

লগ্নিতে ছেলেরা-সাফল্যে মেয়েরা

একটা দেশের ফুটবলের মানদণ্ডই হলো ছেলেদের জাতীয় দল। অথচ গত ১৯ বছরে একটি ট্রফিও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়া-বিশ্বনাথ ঘোষদের পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচ করেও আসেনি কোনো সাফল্য। 

ব্যর্থতার অতলে হারিয়ে যাওয়া দেশের ফুটবলের সফলতার চাবিটা এখন মেয়েদের হাতেই। সুযোগ-সুবিধায় ছেলেদের চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা সাবিনা খাতুন-মারিয়া মান্ডারা মৃতপ্রায় ফুটবলকে বাঁচিয়ে রেখেছেন! গত আট বছর ধরে এক সুতোয় গেঁথে মেয়েরা জিতেছেন সাত শিরোপা।

সব পেয়েও রেজাল্ট দিতে পারছেন না ছেলেরা। একের পর এক হারের লজ্জায় ডুবছেন তারা। দিনে দিনে র্যাংকিংও যাচ্ছে পেছনে। জুনে সর্বশেষ র্যাংকিংয়ে চার ধাপ অবনমন হওয়া বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৯২তম; যা নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

ছেলেরা যখন র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন, মেয়েরা তখন তরতর করে সামনে এগোচ্ছেন। ৬১ ধাপ এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ই তো তার প্রমাণ। নারী ফুটবলের জন্য এটা তো ঐতিহাসিক মুহূর্ত। 

অথচ শেষটায় গোলশূন্য ড্র করায় মাঠে সাবিনাদের চোখে-মুখে ছিল রাজ্যের হতাশা। প্রথম ম্যাচে ছয় গোলে জেতার পর, দ্বিতীয় ম্যাচে ড্রটিই তারা মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু ছেলেরা তো এক পয়েন্ট পেলেই মহাখুশি। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা নানাভাবে বঞ্চিত; কিন্তু মুখ বুজে সব সহ্য করে যাওয়া সাবিনারা দেশকে এনে দিচ্ছেন একের পর এক সাফল্য। 

কোটি কোটি টাকা খরচ করেও ছেলেদের কাছ থেকে চার মেয়াদে এসেও এখনো একটি ট্রফি পাননি সালাউদ্দিন। আর অল্প সুযোগই দেশে-বিদেশে লাল-সবুজের পতাকা ওড়াচ্ছেন গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। যাদের বেতনের অঙ্কটা যেন কোনোমতে বুঝিয়ে দেয়ার মতো।

তিন ক্যাটাগারিতে মেয়েদের সর্বোচ্চ বেতন ২০ হাজার টাকা; যা কি-না সবাই পান না। অথচ জাতীয় দলের একেক ফুটবলারই কি-না এক ম্যাচ খেলে তারা প্রায় দিগুণ অর্থ পকেটে ঢুকান।

জাতীয় দলের প্রসঙ্গ উঠলেই বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের উত্তর, ‘আমার কাজ হলো সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, মাঠে খেলা নয়।’ ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের কথাতেই ইঙ্গিত পাওয়া যায় জামাল ভূঁইয়াদের পেছনে কতটা অর্থ ব্যয় হচ্ছে ফেডারেশনের। সমপ্রতি খেলা প্রীতি ম্যাচ এবং এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের জন্য দলের পেছনে প্রায় কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে। যদিও ম্যাচগুলো ফিফা স্বীকৃতি বলে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থারও অনুদান আছে। 

তারপরও আনিসুর রহমান জিকোদের পেছনে বাফুফের খরচই হচ্ছে বেশি। কিন্তু মেয়েদের বেলায় সেই হিসাবে খরচের অঙ্কটা অনেক কম। বাফুফের আবাসিক ক্যাম্পে রাখা হয় তাদের। সুযোগ থাকলেও ছেলেদের মতো পাঁচ তারকা হোটেলে তাদের ওঠানো হয় না। এমনকি ক্যাম্প থেকে অনুশীলন ভেন্যুতে যেতে মেয়েদের জন্য ফেডারেশন দেয় লক্কড়ঝক্কড় বাস।

Link copied!