Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪,

নকআউটে জাপান-স্পেন, জিতেও জার্মানির বিদায়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২, ২০২২, ০৩:২৬ এএম


নকআউটে জাপান-স্পেন, জিতেও জার্মানির বিদায়

এশিয়ার দল জাপানের জয়ে কপাল পুড়ল জার্মানির, কোস্টারিকার বিপক্ষে ৪-২ গোলে জিতেও শেষ ষোলোয় যাওয়া হলো না জার্মানদের। ওদিকে জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরেও নকআউটে পা রেখে ফেলল স্পেন। জিতেও জার্মানির বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলো। সে সঙ্গে ‘ই’ গ্রুপ থেকে বিদায় ঘটলো কোস্টারিকারও।

এ নিয়ে টানা দুই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে তারা অংশ নিয়েছিলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। কিন্তু গ্রুপ পর্বের বাধা পার হতে পারেনি তারা দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার কারণে। এবার গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই তারা ২-১ গোলে হেরেছিলো জাপানের কাছে।

দ্বিতীয় ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে নিজেদের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু শেষ ম্যাচে এসে কোস্টারিকাকে ৪-২ গোলে হারালেও পয়েন্ট হয় তাদের ৪। জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া স্পেনের পয়েন্টও দাঁড়ায় ৪। কিন্তু প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার জালে ৭ গোল দেয়ার কারণে এগিয়ে থাকে স্প্যানিশরা এবং এই গোল ব্যবধানেই তারা দ্বিতীয় হয়েই উঠে যায় শেষ ষোলোয়। বিদায় ঘটলো জার্মানির।

জয় ভিন্ন কোনো ফল হলে বিদায় নিশ্চিত। এমন সমীকরণ সামনে রেখে আল বাইত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই কোস্টারিকার গোলমুখে একের পর এক আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে জার্মানরা। জামাল মুসিয়ালা, গুনাব্রি এবং জশুয়া কিমিচরা একের পর এক আক্রমণ করেও গোল আদায় করতে পারেনি। শুধু ১০ মিনিটের ওই একটি গোল ছাড়া।

যদিও জার্মানির সামনে বড় দেয়া হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। অসংখ্য গোল থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন তিনি। নিশ্চিত বেশ কিছু গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন। না হয়, গোল ব্যবধানে স্পেনকেও ছাড়িয়ে যেতে পারতো তারা।

সেবে। কিন্তু গ্রুপ পর্বের বাধা পার হতে পারেনি তারা দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার কারণে। এবার গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই তারা ২-১ গোলে হেরেছিলো জাপানের কাছে।

দ্বিতীয় ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে নিজেদের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু শেষ ম্যাচে এসে কোস্টারিকাকে ৪-২ গোলে হারালেও পয়েন্ট হয় তাদের ৪। জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া স্পেনের পয়েন্টও দাঁড়ায় ৪। কিন্তু প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার জালে ৭ গোল দেয়ার কারণে এগিয়ে থাকে স্প্যানিশরা এবং এই গোল ব্যবধানেই তারা দ্বিতীয় হয়েই উঠে যায় শেষ ষোলোয়। বিদায় ঘটলো জার্মানির।

জয় ভিন্ন কোনো ফল হলে বিদায় নিশ্চিত। এমন সমীকরণ সামনে রেখে আল বাইত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই কোস্টারিকার গোলমুখে একের পর এক আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে জার্মানরা। জামাল মুসিয়ালা, গুনাব্রি এবং জশুয়া কিমিচরা একের পর এক আক্রমণ করেও গোল আদায় করতে পারেনি। শুধু ১০ মিনিটের ওই একটি গোল ছাড়া।

যদিও জার্মানির সামনে বড় দেয়া হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। অসংখ্য গোল থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন তিনি। নিশ্চিত বেশ কিছু গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন। না হয়, গোল ব্যবধানে স্পেনকেও ছাড়িয়ে যেতে পারতো তারা।

ম্যাচের ১০ম মিনিটে এক গোল দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলো জার্মান। এই ১ গোল নিয়েই গিয়েছিলো বিরতিতে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার একটু পরই গোল হজম করে বসে জার্মানরা।

প্রথমার্ধে আর কোনো গোল করতে পারেনি জার্মানি। একের পর এক আক্রমণ করেও না। বরং, ২৯ মিনিটে একেবার নিশ্চিত গোল থেকে বেঁচে যায় জার্মানি। ৪৪ মিনিটে তো নিশ্চিত গোল ছিল। রুডিগার বল দিতে চেয়েছিলেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ারকে। কিন্তু বল পেয়ে যান কেইসার ফুলার। গোলরক্ষক ন্যুয়ারই কেবল সামনে। কিন্তু ফুলার শট নিলেও ন্যুয়ার অসাধারণ দক্ষতায় বলটি হাত দিয়ে ঠেকান।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর কোস্টারিকা যেন ম্যাচে ফিরতে থাকে। ৫৮তম মিনিটে দুর্দান্ত গোলটি করেন ইয়েলৎসিন তাজেদা। ওয়াটসনের হেড ম্যানুয়েল ন্যুয়ার ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। কিন্তু বল ধরে রাখতে পারেননি। ফিরতি বলে শট করে গোল করেন তাজেদা।

৬৭ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার একটি শট সাইড বারে লেগে ফিরে আসলে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় জার্মানি। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে আবারও গোল। এবার গোল করেন কোস্টারিকার হুয়ান পাবলো ভার্গাস। বাতাসে ভেসে আসা বলে আলতো করে হেড করেন ভার্গাস। ম্যানুয়েল ন্যুয়ার টেরই পাননি। তার পায়ে লেগে বল চলে যায় জার্মানির জালে।

তিন মিনিট পর আবারও গোল। এবার গোল করে জার্মানি। গোলদাতা বদলি খেলোয়াড় কাই হাভার্টজ। থমাস মুলারের পরিবর্তে মাঠে নামা হাভার্টজই গোল করেন। ফুলক্রুগের পাস থেকে বল পেয়ে গোলটি করেন তিনি।

৮৫তম মিনিটে আবারও গোল। এবারও গোল করেন কাই হাভার্টজ। গুনাব্রিরর অসাধারণ এক শট থেকে বল চলে যান বক্সের বাম প্রান্তে। দৌড়ে এতে বাম পায়ের এক টোকায় বলটি কোস্টারিকার জালে জড়িয়ে দেন তিনি।

৮৯তম মিনিটে আবারও গোল জার্মানির। এবার গোল করেন নিকলাস ফুলক্রুগ। লেরয় সানের পাস থেকে গোলটি করেন তিনি। কিন্তু লাইন্সম্যান ফ্ল্যাগ তুলে দাঁড়ালে গোল বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু গোলদাতা ফুলক্রুগ অফসাইড ছিলেন না বলে দাবি করেন। যার ফলে, ভিএআর চেক করা হয়। ভিএআর দেখে গোল দেয়া হয় জার্মানির পক্ষে।

ইএফ

Link copied!