ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

কোটি টাকার সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ০১:০৩ এএম

কোটি টাকার সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা নাংলা ইউনিয়নের বন্ধরৌহা গ্রামের কাটাখালী নদীর উপর এক বছর আগে ৯০ মিটারের একটি সেতু নির্মাণ হয়েছে। তবে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় চালু হয়নি সেতুটি। এতে সেতুর সুবিধা পাচ্ছেন না উপজেলার দুই ইউনিয়নের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সেতুটি নির্মাণ করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর 
(এলজিইডি)।

জামালপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, ‘সেতুর সড়ক নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ কিছুটা সময় লেগেছে, অধিগ্রহণ কাজ শেষ হয়েছে এখন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে।

জানা যায়, মাহমুদপুর ইউনিয়নের পুঠিয়ারপাড়া, খাসিমারা, নালছিয়াসহ কয়েকটি এলাকার লোকজন যোগাযোগ সহজ করতে বন্ধরৌহা গ্রামের কাটাখালী নদীর উপর নির্মিত করা হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হলেও এক বছর ধরে সংযোগ সড়ক না থাকাই সেতুটি চালু হয়নি।

বন্ধরৌহা এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, যে জায়গায় সেতুটি নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল, সে জায়গায় সেতুটি নির্মাণ হয়নি। ফলে বন্ধরৌহা এলাকার স্থানীয়দের সুবিধার চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। যে জায়গায় সেতু নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল সেই জায়গার সেতু নির্মাণ হলে জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক নির্মাণ করতে লাগতো না। এখন ফসলি জমির উপর দিয়ে নির্মাণ করতে হবে সেতুটির সংযোগ সড়ক। এতে ফসলি জমির ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সরেজমিন দেখা যায়, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কাটাখালী নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে। সেতুর দুই দিকে নেই কোনো সংযোগ সড়ক।

বন্ধরৌহা গ্রামের লাইট বলেন, ‘এই সেতুটি আমার সুবিধার চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি হবে। আমার জমির উপর দিয়ে সড়ক তৈরি হবে। ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে সড়ক হবে। খেতের দুই পাশে যে জায়গা সেটুকু থাকবে চাষ হবে না। কারণ রাস্তার দুই পাশে একটু একটু জায়গা থাকবে কিছুই করা যাবে না।

পুঠিয়ারপাড়ার আলামিন বলেন, ‘ব্রিজের কাজ আরও এক বছর আগে শেষ হয়েছে। ব্রিজের পশ্চিম পাশে সড়ক আছে কিন্তু ব্রিজের সাথে সংযোগ নেই। ব্রিজের পূর্ব পাশে কোনো ধরনের সড়ক নেই, প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করতে হবে তারপর ব্রিজের সঙ্গে সড়কের সংযোগ দিলে চলাচল করতে পারবে। এখন কবে ব্রিজ চালু হবে জানি না। আমাদের যাতায়াতের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

বন্ধরৌহা গ্রামের নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমাদের এলাকার লোকজনের কাজে লাগবে না। মাহমুদপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের লোকদের যাতায়াতের কাজে লাগবে। নতুন রাস্তা করে ব্রিজের সংযোগ দিতে হবে। আর বন্যার সময় নতুন রাস্তা টিকবে না ভেঙে যাবে। নদীর পশ্চিমপাড়া দিয়ে শাহীন বাজার হয়ে ওই ইউনিয়নের লোকজন চলাচল করে এখন। এখন যে রাস্তায় চলাচল করে ৩০০ মিটারের মতো রাস্তা যদি করে দিতো তাহলে ব্রিজ করতে হইত না। এখন যে টাকার জমিন কিনে রাস্তা তৈরি করে ব্রিজের সাথে সংযোগ দেবে, সেই টাকা দিয়েই নদীর পশ্চিমপাড় দিয়ে রাস্তা হয়ে যেত ওই রাস্তা দিয়ে লোকজন চলাচল করতে পারত। এত টাকা খরচ করে ব্রিজ করতে হতো না।

এ বিষয়ে জামালপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ কিছুটা জটিলতা ছিল। ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে। ড্রয়িং ডিজাইন দেখে সেতুটি নির্মাণ হয়েছে। স্থানীয়রা যে জায়গার কথা বলতাছে সেই জায়গাটি ভাঙন এলাকা। আমরা ভাঙন এলাকায় তো ব্রিজ করি না।

Link copied!