ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

আল্লাহর চিন্তাই মানুষকে ক্ষমার পথ দেখায়

ধর্ম ডেস্ক

ধর্ম ডেস্ক

মার্চ ২৫, ২০২৩, ১১:৫৬ এএম

আল্লাহর চিন্তাই মানুষকে ক্ষমার পথ দেখায়

কোনো ধরনের অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার, চুরি, মিথ্যা, গিবত করা সম্ভব হবে না। কারণ মানুষ চিন্তা করবে যে, তার সব কর্মকাণ্ড আল্লাহ তাআলা দেখছেন

মহান আল্লাহ সবকিছু জানেন। তিনি মানুষের অন্তরের গোপন খবরও জানেন। এমনকি মানুষ যা মুখে প্রকাশ করে না, শুধু অন্তরে চিন্তা করেন তাও তিনি জানেন। কুরআনের ঘোষণার উপলব্দিই মানুষের জন্য আল্লাহর ক্ষমা ও নৈকট্য অর্জন সহজ হয়। কুরআনের ঘোষণা ‘আল্লাহ মানুষের সব কাজ দেখেন এবং সব কথা শুনেন’ এ সতর্কতা মানুষের মুক্তি ও সফলতার জন্যই বার বার উল্লেখ করা হয়েছে। 

যাতে মানুষ অন্যায় অপরাধ থেকে বিরত থাকে। মানুষ যখন চিন্তা করবে যে, আল্লাহ তার কর্মকাণ্ড দেখছেন; তখন সে আর অন্যায় কাজে জড়িত হবে না। অন্যায় কাজের দিকে ধাবিত হবে না। প্রতিটি কাজের জবাবদিহিতার মানসিকতা তৈরি করবে। তাইতো মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে এ ঘোষণা দেন- ‘তিনি জানেন তোমাদের (বান্দার) চোখের চুরি এবং তোমাদের অন্তরের গোপনতম প্রকোষ্ঠে যে ভাবনা আসে, তা সম্পর্কেও তিনি সম্পূর্ণ অবগত। (সূরা-মুমিন, আয়াত-১৯)

মানুষ যখনই এ আয়াত নিয়ে চিন্তা করবে, তখন সহজেই আল্লাহর ক্ষমা এবং নৈকট্য অর্জনে এ অবস্থাগুলো তৈরি হবে—

১. কোনো ধরনের অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার, চুরি, মিথ্যা, গিবত করা সম্ভব হবে না। কারণ মানুষ চিন্তা করবে যে, তার সব কর্মকাণ্ড আল্লাহ তাআলা দেখছেন।

২. দুনিয়ার সব কোলাহল বন্ধ হয়ে গেলে গভীর রাতের মানুষের অন্তরে জীবনের ঘটে যাওয়া সব ভালো ও মন্দ কথা ও কাজ ভেসে ওঠে; এ আয়াতের স্মরণে বান্দা ভালো কাজের জন্য শুকরিয়া আদায় করে আর অন্যায়ের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। ৩. শয়তান মানুষকে আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগি থেকে ফিরিয়ে রাখতে আরাম-আয়েশ ও অলসতার সব উপকরণ বাড়িয়ে দেয়। যখনই মানুষ এ আয়াতের স্মরণ করে তখন শয়তান আর মানুষকে ধোঁকা দিতে পারে না। তখনই মানুষ তাহাজ্জুদে আত্মনিয়োগ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ফলে এ আয়াতের স্মরণে মানুষ আল্লাহর কাছে ক্ষমা পায়, তার নৈকট্য অর্জনে সফল হয়। মানুষ সঠিক পথের সন্ধান পায়। সঠিক পথের সন্ধান পাওয়া মানুষের জন্য মহান আল্লাহর এক বিশেষ অনুগ্রহ। সে কারণেই মানুষের উচিত বেশি বেশি তাওবা ইসতেগফার করা। সূরা মুমিনুনের সর্বশেষ আয়াত বেশি বেশি পড়া-

উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা আরহামুর রাহিমিন।’ অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি আপনার ক্ষমা ও রহমত দান করুন। এবং আপনি দয়া প্রদর্শনকারীদের মধ্যে সর্বোত্তম দয়ালু।’ (সূরা-মুমিনুন; আয়াত ১১৮)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সবসময় তার এ বাণী ‘তিনি জানেন তোমাদের (বান্দার) চোখের চুরি এবং তোমাদের অন্তরের গোপনতম প্রকোষ্ঠে যে ভাবনা আসে, তা সম্পর্কেও তিনি সম্পূর্ণ অবগত।’ অন্তরে জাগ্রত ও উপলব্দি করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের সফল জীবন লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Link copied!