Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০১ মে, ২০২৪,

ঢাকায় বড় জমায়েতের প্রস্তুতি

আবদুর রহিম

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৩:১৪ পিএম


ঢাকায় বড় জমায়েতের প্রস্তুতি

বিজয় দিবসে বিএনপির কর্মসূচি 

  • বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকাসহ সারা দেশে শোডাউন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা 
  • আশেপাশের জেলা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা 
  • মুক্তিযোদ্ধা পেশাজীবীদের নিয়েই কর্মসূচি, বিশেষ নেতারা এখনই প্রকাশ্যে আসবেন না 

বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকাসহ সারা দেশে শোডাউন দিয়েছে বিএনপি। গতকাল সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানসহ দলটির শত শত নেতাকর্মী। এ ছাড়া পেশাজীবী পরিষদের ব্যানারে প্রেস ক্লাবে   আলোচনা সভায় বহু নেতাকর্মী অংশ নেন। দিনটি উপলক্ষে সকাল থেকেই বিএনপির অঙ্গ-সংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল, যুগপতে থাকা ১২ দলীয় জোট, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনও ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি, মিরপুর থানা বিএনপি স্মৃতিসোধে শ্রদ্ধা জানায়। ঢাকার বাইরে যশোর, জামালপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালিসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের জন্য ফুলেল শ্রদ্ধা, দোয়া ও আলাচনা সভার আয়োজন করে বলে জানা যায়। 

এদিকে কাল ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিজয় শোভাযাত্রা করে ব্যাপক জনসমাগম ঘটাতে চায় দলটি। শোভাযাত্রার অনুমতি চেয়ে ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে (ডিএমপি) আবেদন করেছে বিএনপি। র?্যালিটি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মগবাজার ক্রসিংয়ের দিকে যাবে। শোভাযাত্রায় ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা থেকে দলের নেতাকর্মীদের আসতে বলা হবে।  র্যালি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কেরানিগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ এক নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে আমার সংবাদকে বলেন, অনুমতি পাওয়া গেলে কেরানিগঞ্জ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিতির প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ হরতাল অবরোধে তারা রাজপথে ছিল বলেও জানান তিনি।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বিজয় দিবসে শুধু ঢাকা নয়— সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পালন করবেন। তবে এখনই বিশেষ কিছু নেতাকে খুব সহজেই প্রকাশ্য কর্মসূচিতে আসতে বলা হবে না। মধ্যম সারির কিছু নেতাকে দিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিজয় দিবস শেষে আগামী ১৭ তারিখ নতুন কর্মসূচি ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৮ তারিখ থেকে ৩০০ আসন-ভিত্তিক নতুন কর্মসূচির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৭ তারিখ পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা। ফাঁকে ফাঁকে নতুন নতুন কর্মসূচি চলবে। এরপর জামায়াতসহ সর্বদলীয় ঐক্যের ব্যানারে আসতে পারে চূড়ান্ত কর্মসূচি। গতকাল সকালে মিরপুর জাতীয় স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, বানরের পিঠে ভাগাভাগি হবে। তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ তারিখ যে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে সেটি কোনো নির্বাচন নয়। এখানে ভোট ভাগাভাগি চলছে। এই নির্বাচনের ফলাফল ঢাকায় বসে নির্ধারণ করা হচ্ছে। আজকে যেটি হচ্ছে সেটি নির্বাচন নয়, সেটি হচ্ছে বানরের পিঠে ভাগাভাগি— সেই কাজগুলো আপনারা (সরকার) প্রকাশ্যে করছেন। আপনারা জাতিকে কলঙ্কিত করেছেন। আজকে আমরা যেটি দেখতে পারছি, রাজধানীতে ভোটের সিট ভাগাভাগি করে যে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ তারিখে সেই ফলাফলই শুধু ঘোষণা করা হবে। ৭ তারিখে কোনো নির্বাচন হবে না সেটি আজকে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়ে গেছে।’

আবদুল মঈন খান বলেন, বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা সরকারের কাছে এই আবেদন করছি, আপনারা সংঘাতের পথ ছেড়ে দিন। এ দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ, তারা শান্তিতে থাকতে চায়, শান্তিপূর্ণ পথে আপনারা রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসানে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আপনারা ক্ষমতা ছেড়ে দিন। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আমরা রাপথে আছি, আমরা রাজপথে থাকব ।’ তিনি বলেন, ‘আজকে দুঃখের সাথে বলতে হয়, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে এসে আজকে যেখানে দাঁড়িয়েছি সেখানে আমরা একই ঘটনা দেখছি— এখানে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই, এখানে মানুষের ভোটের অধিকার নেই,  যারা বাকশালের কথা বলছে, তাকে তারা ধরে নিয়ে যাচ্ছে, মানুষ গুম করা হচ্ছে, এখানে রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যা করা হচ্ছে এবং মানুষের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাজেই আজকে জনগণকে নিয়ে একটি উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করছি, আন্দোলন করছি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।’
 

Link copied!