ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
ডিভোর্সকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব

তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে ওসিকে ফাঁসাতে স্বামীপক্ষের অভিযোগ

হাবিবুর রহমান সজিব

হাবিবুর রহমান সজিব

জানুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১১:৩৩ পিএম

তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে ওসিকে ফাঁসাতে স্বামীপক্ষের অভিযোগ
  • স্বামীর অভিযোগ— স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছেন স্ত্রী
  • স্ত্রীর পরিবারের অভিযোগ— খুনের পর করা হয়েছে গুম

অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়নি : ইয়াসমিন খাতুন, এসপি, মানিকগঞ্জ

বাদী-বিবাদীর দ্বন্দ্বের রোষানলে পড়েছেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। মনঃপূত সমাধান না দেয়ায় সম্প্রতি একটি পক্ষের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগের সত্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তার বিরুদ্ধের এই অভিযোগকে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে মাদক, জুয়া, দখল, 

চাঁদাবাজমুক্ত সিংগাইর গড়ার অন্তরায় হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা। তারা বলছেন, ওসির বিরুদ্ধে করা অভিযোগের নেপথ্যে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে। যারা মাদক, জুয়া, দখল, চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে ওসি জাহাঙ্গীরকে বাধা মনে করছেন। তাদের দ্বারাই প্ররোচিত হয়েছেন অভিযোগকারী কাজী আরিফুর রহমান। 

জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারি সিংগাইরের চর আজিমপুর গ্রামের কাজী গোলাম হোসেনের ছেলে কাজী আরিফুর রহমান ওসি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) দপ্তরে একটি অভিযোগ করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগকারীর ছোট ভাই কাজী শরিফুর রহমান ৯ বছর আগে চাঁদনী আক্তারকে বিয়ে করেন; তাদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি চাঁদনী তার স্বামীর আট ভরি স্বর্ণ, ৪৫ হাজার সৌদি রিয়াল ও দুটি স্মার্টফোন নিয়ে পালিয়ে যান। সিংগাইর থানায় অভিযোগ দায়েরের পরও ওসি তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা না নিয়ে চাঁদনীকে ছেড়ে দেন এবং মিথ্যা মামলার হুমকি দেন। 

অভিযোগকারী নিজেও বলছেন, অভিযোগে ভুলক্রমে ওসি তদন্তের পরিবর্তে ওসির নাম লেখা হয়েছে। দ্বিতীয়বার ওসি আমাদের মামলা নিতে চায়নি। তবে তিনি কোনো ভয়ভীতি দেখাননি বা আমাদের সামনে রিয়াল বা কোনো টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার চাঁদনী দেয়নি। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছেড়ে দেয়া নয়, চাঁদনীর মায়ের ‘খুনের পর গুমের’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাভার থেকে উদ্ধারের পর পিতার হেফাজতে দেয়া হয় তাকে। এবং স্বামীর হারানো মালামাল উদ্ধারের জন্যও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করতে বলা হয়। সিংগাইর থানা পুলিশ জানায়, রহস্যজনক কারণে স্বামীর পক্ষ মালামাল উদ্ধারের মামলা না করে উল্টো ওসি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধেই পুলিশ সুপারের দপ্তরে অভিযোগ করেন। যে অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। 

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর আমার সংবাদকে বলেন, ৫ জানুয়ারি চাঁদনীর মা তার মেয়েকে খুন করে গুম করার অভিযোগ করেন থানায়। একইদিন চাঁদনীর স্বামী কাজী শরিফুর রহমানও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বর্ণ, রিয়াল ও স্মার্টফোন নিয়ে পালানোর অভিযোগ করেন। দুপক্ষের অভিযোগই তদন্ত করা হয়। তিনি আরও বলেন, গত ৯ জানুয়ারি সাভারের বিরুলিয়া এলাকা থেকে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চাঁদনী ও তার সাথে থাকা এক যুবককে উদ্ধার করেন। চাঁদনীর কাছে পাওয়া তার ব্যক্তিগত একজোড়া কানের দুল, একটি আংটি, একজোড়া নুপুর ও একটি স্মার্ট ফোন এসআই মোতালেবের হেফাজতে নেয়া হয়। দুপক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মতিতেই সদ্য ডিভোর্স হওয়া চাঁদনীকে তার বাবার হেফাজতে দেয়া হয় এবং স্বামীর হারানো মালামাল উদ্ধারের জন্য মামলা করতে বলা হয়। কিন্তু তারা মালামাল উদ্ধারের মামলা না করে আমার বিরুদ্ধে এসপি স্যারের দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। তবে তিনি আরও বলছেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্তে যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয় তা তিনি মেনে নেবেন।  

চাঁদনীকে উদ্ধারের পর ঘটনার সমাধানে থানায় ওসির কক্ষে উপস্থিত থাকা উভয়পক্ষের গণমান্য ব্যক্তিরা জানান, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, দখল ও চাঁদাবাজি বন্ধে তিনি দৃশ্যমান বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এ সময় একটি মহল তার (ওসি) বিরুদ্ধে কাজী আরিফুর রহমানকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। 

প্রত্যক্ষদর্শী সিংগাইর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক নুর আলম বাবুল বলেন, চাঁদনীকে থানায় আনার পর ওসির রুমে তিনিসহ উভয়পক্ষেরই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সম্মুখেই চাঁদনীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একজোড়া কানের দুল, একটি আংটি, একজোড়া নুপুর, নগদ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন আমরা দেখতে পাই। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডিভোর্স হওয়ায় চাঁদনীকে তার পিতার হেফাজতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন উভয়পক্ষের মুরব্বিরা। এ সময় ওসি সাহেব মুরুব্বিদের সামাজিক সিদ্ধান্তকেই প্রাধান্য দেন এবং স্বামীর পরিবারকে মামলা করতে বলেন। এর বাইরে সেদিন কেউ কাউকে হুমকি ধমকি দিয়েছে এমনটা শুনিনি।

ওসির বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের তদন্ত হয়েছে কীনা এবং তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে কী ব্যবস্থা নিবেন— এমন প্রশ্নে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোসা. ইয়াসমিন খাতুন আমার সংবাদকে বলেন, আমরা অভিযোগটির তদন্ত করেছি, সত্যতা মেলেনি। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে এটা নিয়ে অভিযোগই হয় না। আমরা আসলে প্রো-অ্যাকটিভ পুলিশিং করতে চাচ্ছি, ভাল পুলিশিং করতে চাচ্ছি। এটা তো আমার ওসিদের নিয়েই করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ভাল কাজে তাদের সাহস দিতে হবে।  এখন ভাল করতে গিয়ে যদি ওসিদের বিপদেই পড়তে হয়, তাহলে তো মুশকিল।

Link copied!