আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ
মে ২৫, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, ত্রিশালবাসীর কাছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি আবেগ, দায়বদ্ধতা এবং প্রেরণার প্রতীক। তিনি বলেন, জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী যেন শুধুমাত্র ত্রিশালে উদযাপিত হয়, সে লক্ষ্যে নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হবে। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেবল নজরুলকে স্মরণই নয়, তার চেতনা ও মানবিকতাকে হৃদয়ে ধারণ করার প্রত্যয় সবার মধ্যে সৃষ্টি হোক।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দরিরামপুরে ‘চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সাহিত্যিক, গায়ক, অভিনেতা, গীতিকার ও সুরকার। নানা গুণে তিনি এক ধ্রুবতারা। তিনি প্রেমের, বিদ্রোহের এবং মানবতার কবি। বাঙালির আবেগ ও অনুভূতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। সাম্রাজ্যবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি তার গান ও সৃষ্টির চেতনা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত তরুণ প্রজন্মকে উদ্দীপিত করেছে। তরুণ সমাজের কাছে নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা আজও অপরিসীম।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ। তিনি বলেন, নজরুল ছিলেন বহুমুখী প্রতিভাধর এক কবি। আধ্যাত্মিকতায়ও তার পথচলা ছিল বিশেষ। তিনি একমাত্র কবি যিনি ইসলামিক গান, গজল ও কবিতায় বাংলা ভাষার সঙ্গে আরবি ও ফার্সি শব্দের অনবদ্য সমন্বয় সৃষ্টি করেছেন। আজও তিনি প্রাসঙ্গিক।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মো. আতাউল কিবরিয়া, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য-২ ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন। স্মারক বক্তব্য রাখেন নজরুল গবেষক ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান ও কবি ও নজরুল গবেষক মাহমুদুল হাসান নিজামী।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্যগণ, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিনুরাগী, স্বেচ্ছাসেবক, ত্রিশালের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ
