ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
কল রেকর্ড ফাঁস

যবিপ্রবি কর্মকর্তা বলেন ‘চেকে দিবা না ক্যাশে দিবা?’

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

নভেম্বর ৪, ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম

যবিপ্রবি কর্মকর্তা বলেন ‘চেকে দিবা না ক্যাশে দিবা?’

‍‍`-চেকে দিবা না ক্যাশে দিবা?‍‍` ‍‍`ক্যাশে দিবো স্যার‍‍` তাহলে কি পজিটিভ করে দিবো এমপি সাহেবের এদিকে? জ্বি স্যার, পজিটিভ তো অবশ্যই করে দিবেন, তবে দেখেন না একটু কম হয় কি-না? তোমার জন্য আমি এক (১ লাখ) কমায়ে দিবো।‍‍` এভাবেই সুমির নামে এক চাকরি প্রার্থীর সাথে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলার কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার সাবেক উপ-পরিচালক (বর্তমান উপ-রেজিস্টার, ডিন অফিস) হায়াতুজ্জামান মুকুলের।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডেভিল নামের একটি আইডি থেকে একটি গ্রুপে পোস্ট করা হয় ফাঁস হওয়া কল রেকর্ডটি।

পোস্ট এর ক্যাপশনে লেখা হয় ‍‍`নিয়োগ বাণিজ্যে সরাসরি জড়িত থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন সময়ে এই অডিওটি উধাও করে দিয়ে নামে মাত্র মুচলেকা দিয়ে দালাল মুকুলকে উদ্ধার করেছিল। বর্তমানে এই মুকুলই ক্যাম্পাসের পরিবেশ অশান্ত করবার চেষ্টা করে প্রশাসনিক ভবনে ফেরত আসবার চেষ্টা করছে। সাধু সাবধান। পুনরায় তদন্ত করে এই নিয়োগ বাণিজ্যের দালাল কে শাস্তি প্রদান করতে হবে। শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে তিনি এসব অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এখন আবার বিএনপি এবং জামাত বেশ ধরে সাধু সাজবার চেষ্টা করে যাচ্ছে।‍‍`
কল রেকর্ডে বলতে শোনা যায়,
সুমির: কোন দিক দিয়ে চেষ্টা করবেন স্যার?
মুকুল: দুই দিক দিয়েই আমি চেষ্টা করবো। ভিসি স্যার তো টাকা খায় না,  পলিটিক্যাল দিক দিয়ে নাবিল সাহেব (সদ্য সাবেক এমপি, যশোর) আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু বিষয় থাকে জানো তো? যারা চাকরি দিবে তারা তো অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে, এটা তো তুমি বোঝ।

শেষ পর্যন্ত চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে ১১ লাখ টাকায় একটি সমঝোতা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই চুক্তির পর সুমির সেই চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হন৷ মৌখিক পরীক্ষার আগে মুকুলের সাথে কথা বলার সময় তৎকালীন রিজেন্ট বোর্ড মেম্বার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান সুমিরকে হাতেনাতে ধরেন। পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মুকুলকে পাঁচ বছরের পদোন্নতি ও তিনটি ইনক্রিমেন্ট না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এধরণের অপরাধে গুরুদণ্ড দেওয়ার বিধান থাকলেও অদৃশ্য কারণে তাকে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে হায়াতুজ্জামান মুকুল কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন ব্যক্তিগত বিষয় যারা ফেসবুকে ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

আরএস

Link copied!