Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৬ মে, ২০২৫,

যাত্রী কল্যাণ সমিতি

এপ্রিলে ৫৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জনের প্রাণহানি

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

মে ৬, ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম


এপ্রিলে ৫৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জনের প্রাণহানি

বিদায়ী এপ্রিল মাসে দেশের গণমাধ্যমে ৫৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জন নিহত এবং ১২০২ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটি বলছে, এই মাসে রেলপথে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ৮টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৬১০টি দুর্ঘটনায় ৬২৮ জন নিহত এবং ১২০৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত ও ২২৪ জন আহত হয়েছেন।

এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে, সেখানে ১৩৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৬ জন নিহত ও ৩৭৭ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে, সেখানে ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৫১ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ মে) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পেয়েছে।

প্রতিবেদনে এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন; অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালকের অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসবিহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

আরএস

Link copied!