মিজানুর রহমান, ফেনী
জুলাই ৮, ২০২৫, ০১:৩৪ পিএম
ফেনীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার, ৮ জুলাই পর্যন্ত) ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান।
টানা ভারী বৃষ্টিতে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, মিজান রোড, নাজির রোড, একাডেমী, সদর হাসপাতাল মোড়, পাঠান বাড়ি, শাহীন একাডেমী এলাকা, রামপুর ও পেট্রো বাংলা এলাকাসহ বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, টানা বৃষ্টির কারণে শহরের রামপুর শাহীন অ্যাকাডেমি, পাঠান বাড়ি, নাজির রোড, পেট্রো বাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর পাড় ভেঙে দুটি দোকান নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। চলমান পরীক্ষার কারণে কোমর পানি ভেঙে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হয়েছে অনেককেই। ভিজে বইখাতা নষ্ট হওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
শহরের পাশাপাশি আশপাশের নিম্নাঞ্চলও পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে উত্তরের জনপদ—ফুলগাজী ও পরশুরাম এলাকায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া, সিলোনীয়া নদীর পানি বাড়ছে। তবে এখনও তা বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। তবে ফেনীর ফুলগাজী বাজারের শ্রীপুর রোডে মঙ্গলবার সকালে মুহুরী নদীর পাড় ভেঙে দুটি দোকান নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে।
এদিকে, শ্রমজীবী মানুষদের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকে ঘর থেকে বের হতে না পারায় আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকা ডুবে গেছে।
বিআরইউ