Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

ঢাবিতে গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ছাত্রলীগের সমাবেশ

ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাবি প্রতিনিধি

আগস্ট ২৪, ২০২২, ০৫:২৭ পিএম


ঢাবিতে গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ছাত্রলীগের সমাবেশ

বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির জঘন্যতম ঘটনা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সংগঠিত ‘একুশে আগস্ট গ্রেনেড’ হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত বিএনপি‍‍`র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা।

বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আহ্বান জানাচ্ছি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন এবং ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার সঙ্গে তার পুত্র তারেক রহমান জড়িত ছিলেন। অবিলম্বে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের শাস্তি দিয়ে বাংলাদেশ কে পাপমুক্ত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠন গুলোর অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইদানিং কিছু নামসর্বস্ব ছাত্র সংগঠন গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য চেষ্টা করছে। আপনারা কখনো সফল হবেন না। ছাত্র সমাজ আপনাদের কে রুখে দিবে। তরুণ প্রজন্ম আগামীর বাংলাদেশ গড়বে।

তিনি আফসোস করে বলেন, একটা সময় বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস আমরা জানতে পারি নাই। শেখ হাসিনা আমাদের কে সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছেন। বাংলাদেশে কিছু হারিকেন পার্টি বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে ধর্না দিতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের কে আহ্বান জানাচ্ছি "তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন"।
একটি মহল কথায় কথায় হাসি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা থাকতে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা কখনো হবে না। পদ্মা সেতু এবং মেট্রোরেল এখন দৃশ্যমান। শেখ হাসিনার উন্নয়নের পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। তার নির্দেশ মোতাবেক হামলার পর পরই ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার নেতৃত্বে আলামত মুছে ফেলা হয়েছে। হামলাকারীরা নিরাপদে চলে গেল।
হামলার শিকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোন চিকিৎসা পায়নি।

তিনি আরো বলেন, এখনো তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সাথে তারেক রহমানের যোগাযোগ আছে। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে তারা জঙ্গিবাদের পেছনে খরচ করে। বাংলাদেশের মানুষ ২১ আগস্ট ফিরে আসুক‌ তা চায় না। বাংলাদেশের মানুষ ১৫ আগস্ট ফিরে আসুক‌ তা চায় না। যারা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড করে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তারা সেই ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ কে মিনি পাকিস্তান বানাতে তারা ষড়যন্ত্র করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসুর সাবেক এ জিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিএনপি জনগণের দ্বারা প্রত্যাখাত হয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। আজকে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের যে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ কে আমরা স্বাগত জানাই।
বুয়েটের শিক্ষার্থীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আজকে কাউকে বলতে শুনেছি ছাত্রলীগের ঠিকানা, অমুক জায়গায় হবে না। ছাত্রলীগের ঠিকানা কোথায় হবে তা একাত্তরে ঠিক হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের ঠিকানা,পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সামরিক শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। পাকিস্তানের জেলখানায় ছাত্রলীগের নাম লিখা আছে। বাংলাদেশের 
প্রতিটি পথে প্রান্তরে ছাত্রলীগের নাম লিখা আছে।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেন।

কেএস 

Link copied!