জাবি প্রতিনিধি
মে ২৫, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
জাবি প্রতিনিধি
মে ২৫, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে গাঁজা সেবনের সময় সাবেক ছাত্রলীগকর্মীসহ তিনজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা ২টার দিকে হলের ২৫৫/বি কক্ষে গাঁজা সেবনের সময় তাদের আটক করা হয়। পরে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান এবং নিরাপত্তাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন।
জানা যায়, কক্ষটির বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হৃদয় ইসলাম এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী রাইসুল রুবাই। দুজনেই ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী এবং বর্তমানে হলের অবৈধ আবাসিক। হৃদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হলেও মীর মশাররফ হোসেন হলে অবস্থান করছিলেন। রাইসুল রুবাই সিট দখল করে রাখলেও থাকতেন অন্য হলে। জুনিয়র শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগে সক্রিয় থাকার সময় রাইসুল গণরুমে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালাতেন।
অন্য দুজন অভিযুক্ত হচ্ছেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কিরণ সূত্রধর হিমু এবং তন্ময় চন্দ্র রায়। তারা দুজনেই আল বেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, নামাজ পড়ে ফেরার সময় বারান্দা দিয়ে যাওয়ার পথে তারা গাঁজার গন্ধ পান। দরজায় নক করলেও সাড়া না পাওয়ায় তারা প্রভোস্টকে খবর দেন। পরে তিনি উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গাঁজার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তারা কোনো সদুত্তর দেননি।
রুমের বাসিন্দা হৃদয় স্বীকার করেন, “গত পরশু ঢাকায় যাওয়ার সময় গাঁজা এনেছিলাম। আজ বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, তাই বন্ধুদের মেসেজ দিয়ে আসতে বলি। আমি জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। আমার ভুলের জন্য আমি দুঃখিত।”
অভিযুক্ত কিরণ সূত্রধর হিমু বলেন, “হৃদয়ের সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয় ছিল না। তন্ময়ের সঙ্গে আড্ডা দিতে এসে তার সঙ্গে হৃদয়ের রুমে যাই।”
তন্ময় চন্দ্র রায় বলেন, “হৃদয় আমাকে বেলা ১১টার দিকে গাঁজা খেতে হলে আসতে বলে। পরে আমি ও হিমু হলে আসি।”
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, “মাদকের বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। হৃদয়কে আজকের মধ্যেই হল ছাড়তে বলা হয়েছে এবং তাকে শোকজ করা হবে। এ বিষয়ে প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে এবং তার বরাদ্দপ্রাপ্ত হলের প্রভোস্টকেও বিষয়টি জানানো হবে।”
ইএইচ