Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫,

তীব্র গরমে শিশুর সুরক্ষা: ৭টি পরামর্শ মেনে চলুন

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

মে ২৭, ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম


তীব্র গরমে শিশুর সুরক্ষা: ৭টি পরামর্শ মেনে চলুন

বাংলাদেশে দীর্ঘ গ্রীষ্ম আর তীব্র গরম শিশুদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্রতার কারণে শিশুদের ঘামাচি, হিট র‍্যাশ, পানিশূন্যতা, হিট স্ট্রোক, এমনকি সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তবে সচেতন পরিচর্যায় এসব ঝুঁকি থেকে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব।

নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘এই সময়টায় শিশুদের শরীর খুব দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। অনেক সময় তারা নিজের অসুস্থতা বোঝাতে পারে না। তাই অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।’

শিশুর যত্নে ডা. শাহিনুল ইসলাম যে সাতটি পরামর্শ দিয়েছেন—

১. পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাদ্য দিন:
– শিশুকে পর্যাপ্ত পানি বা বুকের দুধ খাওয়ান
– ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুকে ঘরের তৈরি ওআরএস, ডাবের পানি, লেবু পানি দিতে পারেন
– প্রস্রাব হলুদ মানেই সাবধান: পানিশূন্যতার লক্ষণ

২. হালকা ও সহজপাচ্য খাবার দিন:
– সহজপাচ্য খাবার যেমন খিচুড়ি, ভাত-ডাল, তরমুজ, কলা দিন
– দুধ দ্রুত নষ্ট হয়, সংরক্ষণে সতর্ক থাকুন
– ভাজাপোড়া ও বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন

৩. সুতির হালকা পোশাক পরান:
– ঢিলেঢালা, হালকা রঙের সুতির জামা পরান
– ঘামে ভিজলে জামা বদলান

৪. ঠান্ডা ঘর, বাতাস চলাচল উপযোগী রাখুন:
– জানালা খুলে রাখুন, পর্দা টানিয়ে রোদ আটকান
– ফ্যান চালু রাখুন, দিনে ১-২ বার গোসল করান

৫. ঘামাচি ও ত্বকের যত্ন নিন:
– ঘামাচি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে লোশন বা পাউডার ব্যবহার করুন
– পরিষ্কার জামা পরান, ত্বক শুকনো রাখুন

৬. রোদে বাইরে নয়:
– দুপুর ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলুন
– প্রয়োজনে ছাতা, টুপি ও পানি সঙ্গে রাখুন

৭. বিপজ্জনক লক্ষণ দেখলে দেরি নয়:
– খাওয়ার অরুচি, বমি, পাতলা পায়খানা
– প্রস্রাব কমে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া
– শরীর গরম হয়ে যাওয়া বা দুর্বলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

শিশুর সুস্থ বিকাশের জন্য প্রতিটি ঋতুতেই যত্ন জরুরি। তবে তীব্র গরমে এই যত্ন হতে হবে আরও সচেতন ও নিয়মিত। সময়মতো তরল খাবার, পরিষ্কার পরিবেশ এবং সঠিক যত্নই পারে শিশুকে গরমের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে।

 

লেখক—

ডা. মো. শাহিনুল ইসলাম
নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
সালথা, ফরিদপুর।

বিআরইউ

Link copied!