Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪,

ক্রীড়া প্রতিভা কর্মসূচি অন্বেষণ

কোনো প্রতিভাকেই হারিয়ে যেতে দেবো না : ক্রীড়ামন্ত্রী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম


কোনো প্রতিভাকেই হারিয়ে  যেতে দেবো না : ক্রীড়ামন্ত্রী

বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে কতটুকু প্রতিভা রয়েছে তা আমরা না বুঝলেও বাইরের দেশের কোচরা কিন্তু ঠিকই বোঝেন। কেননা নানা সময়ে বাইরের দেশ থেকে বিভিন্ন কোচ এসে দেশের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অনেক খেলায় মেধাবী খেলোয়াড় সংখ্যা অনেক। নানা কারণে মেধাবী খেলোয়াড়রা ঝরে পড়ে ক্রীড়াঙ্গন থেকে হারিয়ে যান। তবে কোনো ক্রীড়া প্রতিভাকেই আর হারিয়ে যেতে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটরিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, কোনো প্রতিভা যেন হারিয়ে না যায়। আমরা সর্বাত্মকভাবে সেই চেষ্টা করব। এখানে যারা এসেছে তারা সবাই এই বয়সে স্ব স্ব খেলার মেধাবী। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রত্যেকের খোঁজই রাখব।
এনএসসি ২০১০ সালে প্রতিভা অন্বেষণের কার্যক্রম শুরু করে। যার অধীনে একেক বছর একেক খেলা এবং একেক জেলা থেকে প্রতিভা অন্বেষণ করা হয়। যদিও প্রাপ্ত প্রতিভাবানদের প্রকৃত তথ্য এবং পরবর্তী ফলোআপ সেভাবে থাকে না। 

এই বিষয়ে পাপন বেশ জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে মাত্র তিন সপ্তাহের একটা প্রশিক্ষণ হয়েছে। এরপর যদি তাদের ধারাবাহিকতা না থাকে অথবা তারা কি করছে সেটা খোঁজ না রাখতে পারি, তাহলে তো আর এই কর্মসূচির সার্থকতা নেই। আমরা প্রতিভাবানদের ডাটাবেজ তৈরি করব।

এবার ১১ ডিসিপ্লিনে ১৬৪ জন প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ঢাকায় তিন সপ্তাহের অনুশীলন করেছে। প্রতি খেলায় পাঁচজন করে ক্রীড়াবিদকে সার্টিফিকেট প্রদানের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনে সুপারিশপত্র দেবে এনএসসি। পাঁচ জনের বাইরে যারা রয়েছে, তাদের নিরাশ না হওয়ার জন্য পাপন সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর উদাহরণ দিয়েছেন, কিছুদিন আগে বালিতে গিয়েছিলাম এসিসির সভায়। সেখান থেকে ফেরার পথে সিঙ্গাপুরে একদিন ছিলাম। সেখানে একটা বিষয় শুনলাম। 

তাদের বর্তমান যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন এবং এখন মন্ত্রী। সুতরাং কোনো সময় ব্যর্থ হওয়া মানেই শেষ নয়। তোমরা পাঁচ জনের বাইরে যারা রয়েছ, তাদেরও সম্ভাবনা আছে এবং তোমাদেরও খোঁজ রাখব আমি।

ফুটবল, ক্রিকেট ও আরচ্যারির বাইরে অনেক ফেডারেশনের নিজস্ব কোচ নেই। আসলে বেতন দিয়ে কোচ রাখার সামর্থ্যও নেই তাদের। এক সময় এনএসসিতে নানা খেলায় ৪০ জনের বেশি কোচ থাকত। এখন সেটি কমতে কমতে দশের একটু বেশি। 

এনএসসি ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান হলেও এখানে কোচদের মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধাও কম। এই প্রসঙ্গে নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি কাজ করছি। কোন ফেডারেশনের কি সমস্যা। কাদের কোচ বা কি প্রয়োজন। সমস্যা চিহ্নিত অনেকটা শেষ পর্যায়ে। এক মাসের মধ্যে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
 

Link copied!