মে ২৪, ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
দীর্ঘ ১৪ বছর পর সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন সরকার গঠনের পর শুক্রবার ওয়াশিংটন এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সিরিয়াকে এখন শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল একটি দেশ হতে হবে। আজকের এই সিদ্ধান্ত দেশটির ভবিষ্যৎ আরও ভালো করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
এর আগে, এক সপ্তাহ আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেন। তিনি জানান, তুরস্ক ও সৌদি আরবের অনুরোধেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে সিরিয়ার নতুন সরকার বিদেশি বিনিয়োগ গ্রহণ করতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে—সিরিয়া কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিতে পারবে না এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এখন থেকে সিরিয়ায় তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ খাতে বিনিয়োগসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত কিছু সংস্থার সঙ্গেও বৈধভাবে ব্যবসা করা যাবে।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সিরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ সময় ধরে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ ছিল।
তবে আসাদ সরকারের পতনের পর গঠিত নতুন সরকার পশ্চিমা বিশ্বে সম্পর্কোন্নয়নের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত শুধু সিরিয়ার অর্থনীতিই নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি বড় বার্তা। এতে শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনের নতুন সুযোগ তৈরি হলো।
বিআরইউ