বরিশাল ব্যুরো:
জুলাই ১৩, ২০২৫, ১১:০৫ এএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, এই খুনের দায়িত্ব তারেক জিয়াকেই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট করে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়-এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ের চরিত্র একই। তারা খুনি, ধর্ষক, টেন্ডারবাজ।’
তারা দুর্নীতিতে বার বার চেম্পিয়ানশিফ লাভ করেছে, যারা অবৈধ নির্বাচন উপহার দিয়েছেন, যারা চাঁদাবাজি করার কারণে মানুষকে বির্তরিত করেছেন, দ্বিতীয় বার তাদের আর মানুষ ভোট দিবেন না।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সচেতন হয়েছে, ওই চাঁদাবাজদের মানুষ আর ভোট দেবেনা।
তিনি অভিযোগ করেন, মিটফোর্ডে যুবক হত্যার ঘটনা মামলাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। সরকার এবং প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধীদের রক্ষা করতে চাইছে। চাঁদা না পেয়ে যুবদলের কর্মীরা মিটফোর্ড এলাকায় পাথর মেরে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে। এটা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চেয়েও ভয়ংকর বর্বরতা।
যেমন ‘রাজধানীতে পাথর ছুড়ে প্রকাশ্যে যুবক হত্যার দায় দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শায়খে চরমোনাই বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপিকে এড়িয়ে যাওয়া চলবে না। লোক দেখানো বহিষ্কার নয়, দলীয়ভাবে এর দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।
চাঁদা না পেয়ে ঢাকায় মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার ঘটনা আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। যা আওয়ামী ফ্যাসিবাদ কর্তৃক হত্যাযজ্ঞের চেয়েও মারাত্মক।
শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাইন হলে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি কল্যাণের জন্য, হত্যার জন্য নয়। যারা রাজনীতিকে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার বানিয়েছে, তারা দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, নগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জেলার সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. সুলাইমান এবং নগর সম্পাদক মাওলানা জাহিদুল ইসলাম।
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মাদ আলামিন, মাওলানা মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহাম্মাদ লোকমান হাকিম, মাওলানা আবুল খায়ের আশরাফী, মাওলানা মুহাম্মাদ কাওছারুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল রহমান, হাফেজ মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ আরমান হোসেন রিয়াদ, মাওলানা শাকিল মাহমুদ, মাওলানা আইয়ুব আনসারী প্রমুখ। সমাবেশে বরিশাল জেলা ও মহানগরের শতাধিক নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
বিআরইউ