Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪,

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ অনুষ্ঠানে মেয়র আতিক

‘জলাধার ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না’

মো. মাসুম বিল্লাহ

নভেম্বর ১০, ২০২২, ০৩:৪৬ পিএম


‘জলাধার ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না’

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা নিয়মিত লেক পরিষ্কার করছি, খাল ও ড্রেন পরিষ্কার করছি। কিন্তু বাসা-বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের লাইনের পানি খালে গিয়ে প্রতিনিয়ত খালের পানিকে দূষিত করছে। দূষণের ফলে খালে মাছের চাষ করতে পারছি না, সেখানে মশার চাষ হচ্ছে। এটি আর হতে দেয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বাড়িধারাসহ সব লেকে পর্যায়ক্রমে মাছ চাষ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর সমাপ্তি উপলক্ষ্যে রাজধানীর কুড়িল লেকে মাছের অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র কুড়িল লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। রুই, কাতলা, কালিবাউশ, মৃগেল এই চার প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শুধু কুড়িল লেকে নয়। পর্যায়ক্রমে সবগুলো লেকে মাছ চাষ করা হবে। গুলশান, বনানী, বাড়িধারা ও নিকেতন এলাকার লেকগুলোতে মাছ চাষ করার বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে কথা বলেছি। অধিদপ্তর আমাকে জানিয়েছে এসব লেকের পানি দূষিত। এগুলো মাছ মারা যাবে।

অতএব লেকের পানি দূষণ থেকে রক্ষা করতে হবে। পয়ঃবর্জ্যের লাইন লেকে দেয়া যাবে না। বাসা-বাড়িতে অ্যাট সোর্সে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে পয়ঃবর্জ্যের লাইন পরিদর্শন করছে। পয়ঃবর্জ্যের লাইন ড্রেনে বা খালে পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেয়র আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেমন পদ্মাসেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো মেগা প্রকল্প নির্মাণ করছেন।  অন্যদিকে পশুপালন, মৎস্য চাষ ও কৃষির উন্নয়ন করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। 

সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে পশুপালন, মৎস্য চাষ ও কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। চাষযোগ্য জমিতে চাষ করতে হবে। জলাশয়, লেক, পুকুরে মাছ চাষ করতে হবে।

শহরের জলাধার ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন জলাধার ভরাট করে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ কাজ শুরু হলে আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেটি বন্ধ করে দেই। 

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লাউতলা খাল উদ্ধার করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করেছি। শহরে জলাধার, লেক ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। রাতের আধারে জলাধারে বালু ভরাট করে ভবন নির্মাণ করলে জনগণ সেটি মানবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাধার ও লেকগুলোকে বাঁচাতে হবে।

ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বি.এম. মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়া, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়নসহ প্রমুখ।

টিএইচ

Link copied!