Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

ইবির বেশিরভাগ ভবনে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র

ফারহানা নওশিন তিতলী, ইবি

ফারহানা নওশিন তিতলী, ইবি

জুলাই ৩, ২০২২, ০১:৪২ পিএম


ইবির বেশিরভাগ ভবনে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ভবনে নেই আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক-প্রশাসনিক, আবাসিক হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনসহ ছোট-বড় অর্ধশতাধিক ভবন রয়েছে। এসব ভবনে হাতেগোনা তিন-চারটিতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও বাকিগুলোতে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অনাকাঙ্খিত যেকোনো অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ভবনে এসি, টিভি, গ্যাস সিলিন্ডার, রেফ্রিজারেটরসহ নানা বৈদ্যুতিক সামগ্রী, ব্যবহার করা হয়। আবার আবাসিক হল গুলোতে খাবারের মান ভালো না হওয়ায় অনেকেই বৈদ্যুতিক হিটারের মাধ্যমে রান্না করেন। এতে অসাবধানতা বা শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটে যেতে পারে।

সর্বশেষ গত ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের পুরাতন ব্লকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগে। এ সময় ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে রুমের বাইরে বেরিয়ে আসেন বলে হল সূত্রে জানা যায়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিকটবর্তী দুই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দূরত্ব যথাক্রমে ২২ ও ২৪ কিলোমিটার। যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটলে নিকটবর্তী স্থানে ফায়ার স্টেশন না থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ল্যাবে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর গবেষণাগারে বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়। একটু অসতর্ক হলেই, মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এখানে প্রায় সময়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। তবে গবেষণাগারে আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্হা নেই। এমনকি এ বিষয়ে তাদের কোনো প্রশিক্ষণও নেই।

রাফি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, হল কিংবা ক্লাসরুম কোথাও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই। দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধার প্রক্রিয়া বা যন্ত্রের ব্যবহার কেমন হবে তাও জানি না। চার বছরের বেশি সময় ধরে এখানে পড়াশোনা করছি, কখনো এ ধরনের প্রশিক্ষণের বিষয়ে শুনিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সি শহিদ উদ্দিন মো. তারেক বলেন, ঠিক কতগুলো ভবনে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে তা আমার জানা নেই। নতুন যে ১০ তলা ভবনগুলো নির্মাণাধীন সেগুলোর প্রতিটিতেই অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্হা থাকবে।

এ বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, ঈদের ছুটির পর আমরা প্রভোস্ট কাউন্সিল অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যাপারে মিটিং করে বিষয়টি প্রশাসনকে জানাব। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সেই বিষয়েও প্রশিক্ষণের ব্যাপারে ভেবেছি।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, হল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কতৃ‌র্পক্ষ যারা রয়েছে তারা প্রস্তাবনা বা চাহিদাপত্র উপস্হাপন করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্হা নেওয়া হবে। বর্তমানে যেহেতু বিভিন্ন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে, এ কাজগুলো সম্পন্ন হলে প্রতিটি ভবনে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্হা করা হবে। 

অগ্নি সচেতনতায় প্রশিক্ষণ বা মহড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

কেএস

Link copied!