টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
মে ২১, ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
মে ২১, ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যমুনা সেতু এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাসে রাতভর সশস্ত্র ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত চলা এই ঘটনায় যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুটে নেয় ডাকাত দল। এ সময় বাসে থাকা নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
ভুক্তভোগী যাত্রী ও বাসচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে রংপুরগামী ‘আল ইমরান’ পরিবহনের একটি বাস ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়। পথে সাভার, বাইপাইল ও আশুলিয়া থেকে আরও কিছু যাত্রী ওঠেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীবেশে আগে থেকেই থাকা ৮-১০ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
ডাকাতরা চালক, সুপারভাইজারসহ যাত্রীদের চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে বাসটি ঘুরিয়ে যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে ঢাকার দিকে নিয়ে যায়। রাতভর তারা বাসটি নিয়ে টাঙ্গাইল ও ঢাকার আশপাশের সড়কে ৪-৫ বার চক্কর দেয় এবং বাসের সব যাত্রীর শরীর তল্লাশি করে সর্বস্ব লুটে নেয়।
বাসের যাত্রী জুয়েল মিয়া জানান, ‘আমাদের চোখ বাঁধা ছিল, কিন্তু নারী যাত্রীদের কান্না ও ডাকাতদের গালাগাল শুনতে পেয়েছি। শ্লীলতাহানির দৃশ্য শুনেই বুঝতে পেরেছি কী হচ্ছে।’
আরেক যাত্রী আকাশ মিয়া বলেন, ‘ডাকাতরা আমাদের হাত-পা বেঁধে একাধিকবার শরীর তল্লাশি করে। মহিলাদেরও বারবার তল্লাশি করে, যা ছিল অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
বাসচালক আবেদ আলী জানান, বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে টাঙ্গাইল শহরের বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় বাসটি ফেলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে তিনি বাস নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সদর থানায় যান।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমদ জানান, ‘এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্তে কাজ শুরু করেছে।’
এ বিষয়ে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনিক রয়েলস’ পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের ২ আগস্টও একই কায়দায় কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল।
বিআরইউ